Close

বাংলায় ‘থার্ড থিয়েটার’ ও বাদল সরকার

আজ ১৫ জুলাই থার্ড থিয়েটারের জনক বাদল সরকারের জন্মদিন।তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে আনন্দ সংবাদ-এর আজকের প্রতিবেদন

বাংলা নাটকে একেবারেই আলাদা ব্যক্তিত্ব হলেন বাদল সরকার৷ বাংলায় নাটকে তাঁর পরীক্ষা নিরীক্ষা জন্ম দিয়েছিল থার্ড থিয়েটারের৷ গত শতাব্দীর ষাট সত্তরে দশকে যখন লাতিন আমেরিকার থার্ড সিনেমা যেভাবে হলিউডি ছবিকে দূরে ঠেলে দিয়ে নিজেদের আদলে গড়ে তুলেছিল ঠিক তখনই বাদল সরকার বাংলা নাটক নিয়ে কাজ করছেন৷ থার্ড সিনেমা যেমন একান্তভাবেই নিজেদের অর্থাৎ “লাতিনীয়” হয়ে উঠছিল ওই সময়কার সেখানকার মানুষের কাছে ঠিক তেমনই আবার বাংলায় বাদল সরকারের থার্ড থিয়েটারও হয়ে উঠেছিলো পুরোমাত্রায় দেশীয়। এই দেশীয় নাটক তাই সমাজের সকল শ্রেণীর কাছে বোধগম্য হয়ে উঠতো। একেবারে নকশাল আমলে বাদল সরকারের নাটকে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা আরও বেশি করে মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল৷ তখন সেই নাটকগুলি মঞ্চের ঘেরা গন্ডি ভেঙে একেবারে প্রকাশ্য জনপথে বেরিয়ে এসেছিল৷ তৈরি করেছিলেন নিজস্ব নাটকের দল শতাব্দী৷ সেই সময়ের তাঁর নাটকের বার্তা দেশে আধুনিক নাট্যকার হিসেবে মারাঠি ভাষায় বিজয় তেন্ডুলকার, হিন্দিতে মোহন রাকেশ এবং কানাড়ি ভাষায় গিরিশ কার্নাডের পাশাপাশি বাংলায় বাদল সরকারের নাম উঠে এসেছিল। ১৯২৫ সালের ১৫ জুলাই জন্ম হয় সুধীন্দ্র সরকারের যিনি পরবর্তী কালে পরিচিত হন বাদল সরকার নামে৷ ১৯৬৮ সালে সঙ্গীত নাটক আকাডেমি এবং ১৯৭২ সালে পদ্মশ্রী খেতাব পান তিনি৷ ১৯৯৭ সালে সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি ফেলোশীপ থেকে ভারত সরকারের সর্ব্বোচ্চ পুরষ্কার “রত্ন সদস্য” পদকে তাকে সন্মানিত করা হয়। তবে এই নাট্যব্যক্তিত্ব পেশাগত দিক থেকে ছিলেন টাউন প্ল্যানার৷ শিবপুর বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের এই প্রাক্তনী টাউন প্ল্যানার হিসেবে কাজ করেছেন ভারতের পাশাপাশি ইংল্যান্ড ও নাইজেরিয়াতে৷ আবার সাহিত্য নাটকের প্রতি আগ্রহের জন্য রীতিমতো বৃদ্ধ বয়েসে যাদবপুরে পড়তে আসেন কম্পারেটিভ লিটারেচার৷ ১৯৯২সালে সেখান থেকে এমএ পাশ করেছিলেন তিনি৷ ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে ২০১১ সালের ১৩মে তাঁর মৃত্যু হয়৷
১৯৫৬ সালে বাদল সরকার প্রথম নাটক ‘সলিউশন এক্স’ লেখেন। তবে এটি মৌলিক ছিল না, নাটকটি লেখা হয়েছিল ‘মাঙ্কি বিজনেস’ সিনেমা অবলম্বনে। তার পরে বাদলবাবু আরও কয়েকটি মৌলিক নাটক লিখলেও তাঁকে সর্বভারতীয় খ্যাতি এনে দেয় ষাটের দশকের মাঝামাঝি ‘এবং ইন্দ্রজিৎ’ই নাটকটি। এই নাটকটি বহুরূপী পত্রিকাতেও প্রকাশিত হয়েছিল৷ তারপর তাঁর রচিত ‘বাকী ইতিহাস’ ‘প্রলাপ’, ‘পাগলা ঘোড়া’ ‘শেষ নাই’ সবকটিই শম্ভু মিত্রের নেতৃত্বাধীন বহুরূপী গোষ্ঠীর প্রযোজনায় মঞ্চস্থ হয়৷
তবে নিজের নাট্যদল শতাব্দী গঠনের পর তিনি একেবারে কলকাতার কার্জন পার্কে খোলা আকাশের নিচে নাটক করা শুরু করেন৷ আসলে বাদল সরকারের পরীক্ষা নিরীক্ষায় থার্ড থিয়েটারের উৎপত্তি সামন্ত সমাজের সেই গুটিকয়েক শিক্ষিতের দ্বারা, যারা ভূস্বামী বা কৃষক কোন শ্রেণীর মধ্যে পড়ে না। অনেক সময় তাঁর নাটকে কোন প্লট থাকে না। চরিত্রের সুনির্দিষ্ট কোন চরিত্রায়ন নেই ফলে বাধ্যবাধতকতা নেই সুনিদিষ্ট পোশাকের৷ অভিনেতা–অভিনেত্রীরা ইচ্ছে মতো চরিত্র বাছাই করে নেন, নাটকের মাঝখানে চরিত্র বদলেরও স্বাধীনতা থাকে৷ প্রয়োজন বুঝলে দর্শকেরাও অভিনয়ে অংশগ্রহণ করতে পারেন৷ঠিকই অংশগ্রহণ সে ভাবে আক্ষরিক অর্থে নয়, খুব জোড়ালোভাবে কিন্তু দর্শক ঢুকে পড়েন কিছু একটা করতে যা অনেকটা সিনেমার ‘এক্সট্রা’দের মতো৷ বাদল সরকারের থার্ড থিয়েটার আন্দোলন ছিল প্রতিষ্ঠান বিরোধী তথা রাষ্ট্রবিরোধী৷ শহরাঞ্চলকে ভিত্তি করে তাঁর ‘ভোমা’ নাটকের পাওয়া যায় নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের জীবন সংগ্রামের প্রতিফলন৷ আবার ‘মিছিল’ নাটকে উঠে আসে ক্ষুব্ধ মানুষের প্রতিবাদ আর তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে রাষ্ট্রের ভূমিকা ৷

এরপর আসা যাক থার্ড থিয়েটারে। ‘থার্ড থিয়েটার’ আসলে কি? ‘থার্ড থিয়েটার’ শব্দ টা উচ্চারণ করলেই আমাদের মনে প্রথম প্রশ্ন জাগে যে , ফার্স্ট ও সেকেন্ড থিয়েটার তাহলে কোনটা? কেনই বা এটাকে থার্ড থিয়েটার বলা হচ্ছে? এর সঙ্গে ফার্স্ট ও সেকেন্ড থিয়েটারের সম্পর্ক কিংবা পার্থক্যটাই বা কী? ইত্যাদি। বাদল সরকার এর উত্তর খুব সুন্দরভাবে দিয়েছেন তাঁর বিভিন্ন লেখালেখিতে। সে বিষয়ে পরে আসছি। প্রথমে বলে রাখি যে,বাদল সরকার তাঁর কর্মজীবনে ইতি টেনে পাকাপাকিভাবে কলকাতায় ফিরে এসে ১৯৬৭ সালে ‘শতাব্দী’ নাট্যদল প্রতিষ্ঠা করেন এবং নিজের লেখা বিভিন্ন নাটক মঞ্চস্থ করতে থাকেন, এর পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে বেশ কিছু গল্প ও উপন্যাসের নাট্যরূপ দিয়ে সেগুলিও মঞ্চস্থ করতে থাকেন। কিন্তু এই প্রসেনিয়াম থিয়েটার করতে গিয়ে তিনি যখন সফলতার চূড়ায় অবস্থান করছেন তখন হঠাৎ করেই তিনি সিদ্ধান্ত নেন তিনি আর প্রসেনিয়াম থিয়েটার করবেন না। তাঁর এই সিদ্ধান্ত অনেককেই অবাক করে। কিন্তু সেই মুহূর্তে তিনি বিকল্প থিয়েটারের খোঁজ চালাচ্ছিলেন।প্রসেনিয়াম থিয়েটার করতে করতে বাদল সরকার লক্ষ্য করেন, মঞ্চ নাটকে অভিনেতারা থাকে আলোয় আর দর্শকরা থাকে অন্ধকারে। অভিনেতারা থাকে মঞ্চে উঁচুতে, আর দর্শকেরা থাকে নীচুতে দর্শকাসনে।অভিনেতাদের সঙ্গে দর্শকদের মত বিনিময়ের সুযোগ প্রায় থাকে না। তিনি উপলব্ধি করেন যে, থিয়েটারকে বৃহত্তর মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হলে মঞ্চ নাটকের এই সীমাবদ্ধতাগুলো ছেড়ে বেরিয়ে আসতে হবে। তিনি দেখলেন, ভারতে দুই ধরনের থিয়েটারের প্রচলন রয়েছে— এক , ভারতের গ্রামীণ সমাজে পালাগান, যাত্রাপালা, ভাওয়াইয়া, নৌটঙ্কী প্রভৃতি লোকনাট্যের প্রচলন রয়েছে। এটাই আমাদের দেশীয় থিয়েটার । এটাকে তিনি ফার্স্ট থিয়েটার বললেন। দুই , ভারতের শহুরে সংস্কৃতিতে বিদেশী সংস্কৃতিকে অনুকরণ করে মঞ্চ নাটকের প্রচলন হয়েছে। এটা বাইরে থেকে আমদানি করা হয়েছে।এটাকে তিনি সেকেন্ড থিয়েটার বললেন। আর এই দুটো থিয়েটারের সিন্থেসিস ঘটিয়ে তিনি একটি বিকল্প থিয়েটারের জন্ম দিলেন, যাকে তিনি থার্ড থিয়েটার বলে পরিচয় দিলেন। তিনি ফার্স্ট থিয়েটার থেকে নিলেন আঙ্গিক অর্থাৎ তিনি বললেন থার্ড থিয়েটার হবে খোলা জায়গায়, মঞ্চ থেকে বেরিয়ে এসে অঙ্গন মঞ্চে এবং মুক্ত মঞ্চে। অঙ্গন মঞ্চ অর্থাৎ অল্প সংখ্যক দর্শক নিয়ে চার দেওয়ালের মধ্যে এবং মুক্ত মঞ্চ অর্থাৎ খোলা জ্যায়গায় বিপুল সংখ্যক দর্শকের মাঝে। আর সেকেন্ড থিয়েটার থেকে নিলেন বিষয় অর্থাৎ থার্ড থিয়েটারের মধ্যে‌একটা সচেতনতার বার্তা থাকবে, এই থিয়েটার হবে সুসংবদ্ধ , নিছক বিনোদন এই থিয়েটারের বিষয় হবে না। এছাড়াও তিনি আরও বললেন যে, এই থিয়েটার হবে মুক্ত, শুধু মঞ্চ নাটকের সীমাবদ্ধতা থেকে মুক্ত নয়, অার্থিক দিক থেকেও মুক্ত। এই থিয়েটার তিনি যখন মুক্ত মঞ্চে করতেন তখন কোনও নির্দিষ্ট অঙ্কের প্রবেশমূল্য তিনি রাখতেন না। নাটকের শেষে চাদর বা গামছা জাতীয় কিছু পাততেন দর্শকদের সামনে, দর্শকরা যা দান করতো সেটাই নিতেন, দর্শকদের এই দানকে তিনি দর্শকদের অংশগ্রহণ বলতেন। নাটক শেষে দর্শকদের সঙ্গে মত বিনিময়েরও চেষ্টা করতেন অভিনেতারা। এইভাবে দুটো থিয়েটারের সিন্থেসিস ঘটিয়ে তিনি ‘থার্ড থিয়েটার’ নামে একটি বিকল্প ধারার থিয়েটারের জন্ম দেন। এই থিয়েটারের সঙ্গে তিনি পরবর্তীকালে জুড়ে দেন আরও দুটি বিষয়— ১.গ্রাম পরিক্রমা ও ২.ওয়ার্কশপ। ‘গ্রাম পরিক্রমা’ বলতে আসলে তিনি তাঁর নিজস্ব নাট্যদল ‘শতাব্দী’ এবং সমমনোভাবাপন্ন অন্যান্য কয়েকটি নাট্যদলের সদস্যদের সঙ্গী করে কোনও গ্রামে চলে যেতেন, সেখানে গিয়ে কবিতা, নাটকের গান, বিভিন্ন নাটক অভিনয় করতেন। এর পাশাপাশি গ্রামের মানুষের সঙ্গে একটা মেলবন্ধনের সুযোগও তৈরি হত। গণনাট্য আন্দোলন গ্রামে গ্রামে গিয়ে নাটক করার যে প্রস্তাব দিয়েছিল, ক িংবা সত্তরের দশকের নকশাল‌ আন্দোলন গ্রাম দিয়ে শহর ঘেরার যে স্লোগান তুলেছিল তারই যেন খন্ড বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা পরিলক্ষিত হয়েছিল বাদল সরকারের এই গ্রাম পরিক্রমার মধ্য দিয়ে।আর‌ এর পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন ওয়ার্কশপের মধ্য দিয়েও নাটক নির্মাণের চেষ্টা করেছেন। ওয়ার্কশপ বলতে আর কিছুই না, কিছু মজাদার খেলা এবং শারীরিক অনুশীলনের মধ্য দিয়ে নাট্য নির্মাণের চেষ্টা এবং অভিনেতার‌ প্রস্তুতি । তিনি ওয়ার্কশপে বিভিন্ন শারীরিক কসরতের মধ্য দিয়ে অভিনেতার শরীর নির্মাণের উপর জোর দিয়েছেন।থার্ড থিয়েটারের ক্ষেত্রে অভিনেতার শারীরিক কসরত ও অঙ্গ ভঙ্গিমা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

বাদল সরকারের বলতেন, থার্ড থিয়েটার হবে নমনীয়, বহনীয় ও সুলভ । নমনীয় অর্থাৎ যে কোনো জ্যায়গায় গিয়ে খুব সহজেই নাটকটা করে দেওয়া যাবে। বহনীয় অর্থাৎ যেহেতু খুব স্বল্প উপকরণের সাহায্যেই এই‌ থিয়েটার করে ফেলা যায়,তাই‌ পরিবহনের ক্ষেত্রে খুব একটা অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় না। সুলভ অর্থাৎ খুব সামান্য খরচের মধ্য দিয়েই অসাধারন সব নাটক উপস্থাপন করা যায় এই‌‌ থিয়েটারে।এই থিয়েটারে চ্যালেঞ্জ অনেক বেশি, কিন্তু বাহ্যিক প্রতিকূলতা, যেমন – হল ভাড়া , মেক আপ, টিকিট, বিজ্ঞাপন খরচা প্রভৃতির ঝামেলা প্রায় নেই বললেই চলে।এই থিয়েটার হল ফ্রি থিয়েটার বা মুক্ত থিয়েটার। কোনো নির্দিষ্ট অঙ্কের মূল্য এই থিয়েটারে প্রবেশের শর্ত নয়।এই থিয়েটার টাকার উপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল নয়, ফলে আরও অনেক ক্ষেত্রে মুক্ত। দর্শকদের সঙ্গে এই থিয়েটারের ক্রেতা বিক্রেতার সম্পর্ক নেই।

যে দর্শনের উপর ভিত্তি করে থার্ড থিয়েটারের পথ চলা শুরু হয়েছিল সেই দর্শনকে মাথায় রেখেই থার্ড থিয়েটার আগামীর পথ চলাকে আরও প্রশস্ত করেছে। এই‌ থিয়েটার অনেক বেশি মানুষের কাছে অনেক সহজভাবে পৌঁছে যাওয়ার অঙ্গীকার নিয়েছিল, থিয়েটারকে পুঁজিবাদের কবল থেকে মুক্ত করার স্বপ্ন দেখেছিল।এই থিয়েটার তার উদ্দেশ্য সাধনে অনেকটাই সফলতা পেয়েছে। যত দিন যাচ্ছে থার্ড থিয়েটারের দলগুলির সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। বর্তমানেএই ধারা নিয়ে এই দর্শন নিয়ে যেসমস্ত নাট্যদল কাজ করছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল শতাব্দী, পথসেনা, আয়না, ব্রীহি, কোরাস, চেনা আধুলি, দৃশ্যান্তর, অন্বেষা সাংস্কৃতিক সংস্থা প্রভৃতি। এই ধারা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা , ওয়ার্কশপ, গ্রাম পরিক্রমা সবই অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে এই থিয়েটার শুধু এটুকুর মধ্যেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেনি। এই থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা কিভাবে এই থিয়েটারের মধ্যে দিয়েই নিজেদের অর্থনৈতিক দিক থেকে স্বাবলম্বী করতে পারে তার খোঁজও চলছে। তাই কোনও কোনও নাট্যদল প্রচুর শো করে সেখান থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে কর্মীদের স্বাবলম্বী করার চেষ্টায় রত, আবার কেউ কেউ শো করার পাশাপাশি তাদের নাট্যকর্মীদের নিজের হাতে তৈরি করা বিভিন্ন জিনিস বিক্রি করে সেখান থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে কর্মীদের স্বাবলম্বী করার চেষ্টায় রত, আবার কেউ কেউ নাট্যগ্রাম নির্মাণের মধ্য দিয়ে দলের কর্মীদের আত্মনির্ভরশীল ও উপার্জনশীল করার চেষ্টায় রত। তবে কখনও কখনও দেখা যাচ্ছে যে, নাট্যগ্রামকেন্দ্রিক নাট্যচর্চা থার্ড থিয়েটারের যে দর্শন সেই দর্শন থেকে সরে আসছে।অনেক সময়ই সেটা নাট্যগ্রামের স্বল্প সংখ্যক দর্শকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকে যাচ্ছে, বৃহত্তর দর্শকের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টায় ভাটা পড়ছে।

রামিজ আলি আহমেদ

Leave a Reply

0 Comments
%d bloggers like this:
scroll to top