Close

নববর্ষে ‘সৃজন ছন্দ’র নবতম প্রযোজনা ‘রবি করে বিবেক জ্যোতি’

নিজস্ব প্রতিনিধি:১২ই জানুয়ারি, ২০২১,মঙ্গলবার
এই বিশেষ দিনে জ্ঞান মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল কলকাতার অন্যতম ওড়িশি নৃত্য সংস্থা ‘সৃজন ছন্দ’র এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা।

অনুষ্ঠানের সূচনা পর্বে ছিল নবতম প্রযোজনা ‘রবি করে বিবেক জ্যোতি’। এই প্রোডাকশনের বিষয় ভাবনা ও নৃত্য পরিচালনা করেন নৃত্যগুরু শ্রী রাজীব ভট্টাচার্য।

‘রবি করে বিবেক জ্যোতি’ বিবেকানন্দ ও রবীন্দ্রনাথের চিন্তাধারায় আধ্যাত্মিকতা আর বাস্তবের মিশেলে এক অনন্য সৃষ্টি। শুরুতেই ‘খন্ডন-ভব-বন্ধন’ এক আধ্যাত্মিক পরিমন্ডল তৈরি করে, আবার ‘মন চল নিজ নিকেতনে’ বা ‘নাহি সূর্য নাহি জ্যোতি’র মত গানের প্রয়োগ যুব সমাজকে সঠিক পথে চলার বার্তা দেয়। এই উপস্থাপনা একাধারে তাল রাগের সমন্বয়ে চিত্তাকর্ষক ও বর্তমান পরিস্থিতিতে সমাজে বিবেক বোধের জাগরণ ঘটিয়েছে।

নৃত্য ভাবনা এবং পরিকল্পনা নৃত্যগুরু শ্রী রাজীব ভট্টাচার্যের। স্ক্রিপ্ট ও কথনে বিশিষ্ট্য নাট্যব্যক্তিত্ব সীমা মুখার্জী, সঙ্গীত আয়োজনে সুমন সরকার, তাল রচনা এবং পাখোয়াজে বিখ্যাত ওড়িশি নৃত্যগুরু রতিকান্ত মহাপাত্র। নৃত্যশিল্পীদের মধ্যে ছিলেন সুমনা দাস ভট্টাচার্য, তৃষা দাস, রঞ্জাবলী দে, সিন্ড্রেলা কর্মকার, অঙ্গনা বোস, কমলিকা বোস, সৃঞ্জয়ী ছেত্রী, শ্রীতমা কর্মকার এবং পরিচালক শ্রী রাজীব ভট্টাচার্য।

এই দিন দ্বিতীয় পর্যায়ে ছিল ‘বন্ধন’। ভারতীয় নৃত্যধারায় বিশিষ্ট কলাকুশলীদের উপস্থাপনা দর্শকদের মুগ্ধ করে। একই সন্ধ্যায় নানান আঙ্গিকের পরিবেশনা দেখতে দেখতে আবারও মনে করিয়ে দেয় এই দেশ কত ঐতিহ্যবাহী।

মণিপুরী নৃত্যে ছিলেন অর্পিতা সাহা, গৌড়ীয় নৃত্যে অয়ন মুখার্জী ও শতাব্দী আচার্য, ওড়িশি নৃত্যে মৃত্তিকা মুখার্জী, কত্থকে রঞ্জনী ভট্টাচার্য, কত্থকে যুগ্ম ভাবে বিপাশা সেন ও সন্দীপ সরকার, ওড়িশিতে নিকিতা দাস, ভরতনাট্যমে সান্তনু রায় ও সৌমালিনী সেনগুপ্ত।

উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নৃত্য জগতের বিশিষ্ট্য ব্যক্তিত্ব ড. মহুয়া মুখার্জী, গুরু অসীমবন্ধু ভট্টাচার্য, গুরু অনিতা মল্লিক।

অনুষ্ঠানটিকে বিশেষ ভাবে সাহায্য করেছে মতিলাল অসওয়াল, তৃষা’স কালেকশন, এস.কে দত্ত এন্ড কো., ‘কলাকেন্দ্র’ নৃত্য প্রতিষ্ঠান। আর যারা নানা ভাবে পাশে থেকেছেন, ‘সৃজন ছন্দ’ তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। সাথে ছিলেন ইমন বোস, দেববানী ছেত্রী, সৃঞ্জয়ী ছেত্রী, কমল বোস, নীলাদ্যুতি চৌধুরী, ড. কৌশিকী চক্রবর্তী, আফরিন হোসেন।

ছবি: বিশ্বজিত সাহা

Leave a Reply

0 Comments
%d bloggers like this:
scroll to top