Close

কর্মফল এজন্মেই!

By Ramiz Ali Ahmed

মানুষ যেমন কাজ করবে তার ফল পরজন্মে নয়,সেই জন্মেই ভুগতে হয়।এমন বিষয় পরিচালক অর্ণব রিঙ্গো বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ছবি ‘কর্মা’তে তুলে ধরলেন।আড্ডাটাইমস-এর প্রথম অরিজিনাল ফিচার ফিল্ম ‘কর্মা’ সম্পূর্ণ সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার ছবি।ছবির কাহিনির বিষয়ে উঠে এসেছে প্রেম,প্রেমের নামে প্রতারণা।ছবির প্লট তামিল নাড়ুর কোদাইকানালে।এখানে ১৭নম্বর ভিক্টরিয়া হাউসের মালকিন সুন্দরী এক তরুণী সঞ্জনা(পৃথা সেনগুপ্ত)।সে সেই বাড়িটা ভাড়া দেয় । দেখা যায় সঞ্জনা তার মায়ের সাথে কথা বলে, যদিও মাকে দেখা যায় না,সেটা শেষে গিয়ে দর্শক বুঝতে পারবে।এই সুন্দর বাড়িটি তৈরি করেছিলেন সঞ্জনার বাবা ক্যাপ্টেন বোস।সঞ্জনার মায়ের সাথে এক কম বয়সী ছেলের সম্পর্ক ছিল,সেটা মিস্টার বোস মেনে নিতে পারেননি।তাই তিনি বাড়ির ব্যালকনি থেকে পড়ে গিয়ে আত্মহত্যা করেন।সেই ব্যাপারটা একদম মেনে নিতে পারেনি সঞ্জনা।তাই সে এই বাড়িতে যখন প্রেমিক-প্রেমিকা,বয়সে বেশ অসামঞ্জস্য দম্পতি হোম স্টে-তে আসে।সে তাদের অসৎ ব্যাপার মেনে নিতে পারে না।সে মনে মনে ঠিক করে তাদের অন্যায়ের ফল ভোগ করা উচিত।সে অতিথিদের যথাযথ আপ্যায়ন করে তারপর তাদের ঠান্ডা মাথায় খুন করে।এরকম বাড়িতেই হোম স্টে-তে আসে লেখক সিদ্ধার্থ(সাহেব ভট্টাচার্য)।সঞ্জনার তাকে বেশ ভালো লেগে যায়।এরপর কি হয়?…না আর বলা যাবে না। সেটা জানতে দেখতেই হবে আড্ডাটাইমস-এ ‘কর্মা’।

টলিউডের সবচেয়ে স্টাইলিশ পরিচালক রিঙ্গো-র ছবি মানে স্টাইলিশ মেকিং হবে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।ছবির দৃশ্যগ্রহন ও সম্পাদনা এতটাই সুন্দর যে যতোই প্রশংসা করা হোক না কেন সেটা কম হয়ে যাবে।ছবির চিত্রনাট্যের বুনোটও এতটাই যে দর্শক একবারের জন্যও ছবি থেকে মুখ ফেরাতে পারবেন না।প্রতি পরতে পরতে টান টান উত্তেজনা।কেউ মার্ডার এতো কুল মাইন্ডেড ভাবে করতে পারে!হাড় হিম হয়ে যাওয়ার মতো।

ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র সঞ্জনার চরিত্রে অভিনয় করেছেন নবাগতা পৃথা সেনগুপ্ত।রিঙ্গো বন্দ্যোপাধ্যায় এই চরিত্রটি বাছাইয়ে তো কোনো ভুল করেননি,উপরন্তু এটা বলাই যায় তিনি টলিউডকে একজন শক্তিশালী অভিনেত্রী উপহার দিলেন।এরকম একটা বহুমাত্রিক লেয়ারের চরিত্রে কি সাবলীল অভিনয়!তিনি যে লম্বা রেসের ঘোড়া তা প্রথম ছবিতেই বুঝিয়ে দিলেন।সিদ্ধার্থর চরিত্রে সাহেব ভট্টাচার্যও যথাযথ।সাহেব পৃথা ছাড়াও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে ডিউক বসু, শাওলি চট্টোপাধ্যায়, পায়েল রায়, বিশ্বজিৎ ঘোষ, অঙ্কিতা রায়, পিয়া দেবনাথ-দের অভিনয়ও প্রশংসনীয়।

ইমন মৈত্র’র কথা,সুর ও কণ্ঠে ‘বিষাক্ত এ মনের গোপনে, যন্ত্রণাকে ভালোবেসে, তোমারই ছবি এঁকে যাই…”গানটি মন ছুঁয়ে যায়।রিঙ্গো’র প্রথম ছবি ‘ক্রান্তি’ যেমন বাংলা ছবিতে এক নতুন জোয়ার নিয়ে এসেছিল তেমনি ‘কর্মা’ও ওটিটি প্ল্যাটফর্মে আলোড়ন সৃষ্টি করবে বলে আশা করা যায়।রিঙ্গো তো কর্ম করে ফেলেছেন এবার ফল কি হয়!

Leave a Reply

0 Comments
%d bloggers like this:
scroll to top