Close

এম.সি.কেজরিওয়াল বিদ্যাপীঠের “রিফ্লেকশন”

নিজস্ব প্রতিবেদক:আজ থেকে ২৫ বছর আগে যে ছোট্ট বীজ বপন করে তাকে মহীরুহে পরিণত করা হয়েছে,সেই সময় আর সেই গৌরবোজ্জ্বল দিনকে স্মরণীয় করে রাখতে হাওড়ার এক প্রখ্যাত স্কুলে আয়োজিত হয়েছিল এক মহা সমারোহের।
১৮ই জুন, শনিবার কলকাতার সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হল এই অনুষ্ঠান। এম.সি.কেজরিওয়াল বিদ্যাপীঠের রজতজয়ন্তী বর্ষকে পালন করতেই এই উদ্যোগ।অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ICSE এর প্রধান নির্বাহী ও সম্পাদক জেরী অ্যারাথুন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রামকৃষ্ণ মিশনের পক্ষ থেকে স্বামী বেদাতিতানন্দ ও প্রখ্যাত বিজ্ঞানী,শিক্ষাবিদ তথা এম.পি. বিড়লার পরিচালন কমিটির সদস্য ডক্টর দেবীপ্রসাদ দুয়ারী।
“রিফ্লেকশন” নামে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের সূচনা হয় জাতীয় সঙ্গীত দিয়ে। তারপর গণেশ বন্দনা দিয়ে মূল অনুষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়। স্বাগত ভাষণ রাখেন বিদ্যালয়ের ডিরেক্টর শ্রী নীলকান্ত গুপ্ত। ভিডিও প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের ২৫ বছরের পথ চলাকে তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল বিদ্যালয়ের কচিকাঁচাদের উৎসাহ ও তাদের দুর্দান্ত পদচারণ মঞ্চ জুড়ে। “বাটারফ্লাই ড্যান্স”, “কাঠপুতলি ড্যান্স”, “মাই মাদার আর্থ” , “টাটিং ড্যান্স” ছিল দিনের বিশেষ চমক। বাল বিকাশ কেন্দ্রের “তবলা প্রেজেন্টেশন” ছিল মনোমুগ্ধকর। চোখ ধাঁধানো ও মন ছুঁয়ে যাওয়া পারফরম্যান্স ছিল “ইংলিশ নাটক” ও “সিম্ফনি” প্রেজেন্টেশনের। টেলিগ্রাফ অ্যাওয়ার্ড , “ভয়েজ ২০২১” এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছিল। সমগ্র অনুষ্ঠানকে মূল সুরে বেঁধে রেখেছিল সঞ্চালকগণ। অনুষ্ঠানের শেষে স্কুল অ্যান্থেমের সুর ও একত্রিত কণ্ঠস্বর জানান দিচ্ছিল এই অনুষ্ঠানের মঞ্চায়ন হয়তো একটি দিনের,তবে অনেক দিনের ও অনেক মানুষের সহযোগিতা ,অধ্যবসায়, পরিশ্রম একে আজ সাফল্যমণ্ডিত করেছে।

Leave a Reply

0 Comments
%d bloggers like this:
scroll to top