Close

ইলোরা’র ভিলেজ থিয়েটার ফেস্টিভ্যাল বিশ্বের ক্ষুদ্রতম নাট্যোৎসব

নায়ীমুল হক:করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর বোলপুরে প্রথম নাট্যোৎসবের আয়োজন করল পিণ্ডিরা ইলোরা নাট্যদল। ১-৩ অক্টোবর বোলপুর উৎসর্গ মঞ্চে হয়ে গেল এই উৎসব। এই উৎসবে বিশিষ্ট অভিনেতা প্রদীপ কবিরাজের অভিনয় জীবনের সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ উদযাপন করা হয় বিশেষভাবে। ১ অক্টোবর উৎসব উদ্বোধন করেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক শ্রী তারক সেনগুপ্ত। এই উৎসবে সংবর্ধিত করা হয় বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী শ্রী অসীম ভট্টাচার্য, নাট্যজন সন্দীপন দত্ত, বিশিষ্ট শিল্পী তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশিষ্ট নাট্যজন কাবেরী বসু ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে। উৎসবে মঞ্চস্থ হয় আমোদপুর নাট্যতীর্থে’র প্যান্ডেমিক (রচনা ও নির্দেশনা – সন্দীপন দত্ত), সিউড়ি প্রেরণা’র মুখ্যমন্ত্রী ( রচনা – উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়, নির্দেশনা – মৃণালজিৎ গোস্বামী) , হালিশহর ইউনিটি মালঞ্চ’র ঘুম ভাঙার গান ( রচনা – তীর্থংকর চন্দ, নির্দেশনা – দেবাশিস সরকার), সিউড়ি আত্মজ’র নহন্যতে (রচনা – সুব্রত নাগ, নির্দেশনা – মুকুল সিদ্দিকী) , সাঁইথিয়া আসর নাট্যমে’র গণশত্রু (রচনা – মিলন চট্টোপাধ্যায়, নির্দেশনা – বিজয় কুমার দাস), সিউড়ি জোনাকি’র বারগেনিং (রচনা – সুবিনয় দাস, নির্দেশনা – তপন নারায়ন রায় চৌধুরী) এবং ইলোরা’র পাশফেল ( রচনা ও নির্দেশনা – মলয় ঘোষ) । উৎসবে সঙ্গীত পরিবেশন করে আশাবরী মিউজিক গ্রুপ ও ঐকতান। উৎসবের শেষ দিনে সাহিত্যসভায় কবিতাপাঠ করেন কবি প্রবীর দাস, প্রদীপ ভট্টাচার্য, বিষ্ণু মুখোপাধ্যায়, মুক্তি মুখোপাধ্যায়, দেবকুমার দত্ত, রেইনি চৌধুরী, মজাহারুল হামিদ, মানস বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখরা। এরপর প্রকাশিত হয় কবি সুজিত রেজের কাব্যগ্রন্থ ‘চলনবিলের নৈঋর্ত অধ্যাপক সুজিত রেজের পরিকল্পনা মত প্রদীপ কবিরাজকে নিয়ে বিশেষ আলোচনার আয়োজন করা হয়েছিল।

এদিন উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট নাট্যশিক্ষক ললিত কোনার, অধ্যাপক তারক সেনগুপ্ত, বিশিষ্ট লেখক সুশীল সাহা, বিশিষ্ট লেখক অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশিষ্ট সাংবাদিক কাঞ্চন সরকার প্রমুখরা। প্রদীপ কবিরাজের উপর আলোচনায় তাঁর পুরনো নাট্যদল নাট্যসারথীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রদীপ পুরোহিত, পাঞ্চজন্যর পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া দেন প্রসন্ন ভট্টাচার্য এবং ঋত্বিক আকাদেমির পক্ষ থেকে প্রতিভা গাঙ্গুলি। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জ্যোতির্ময় নাগ, প্রতিভা গাঙ্গুলি ও সুজিত রেজ। ইলোরা’র পক্ষ থেকে রেইনি চৌধুরী জানান – ‘ আমাদের এই উৎসব বিশ্বের ক্ষুদ্রতম নাট্যোৎসব। করোনার বিধি নিষেধ মেনেই বিশিষ্ট জনেরা আমাদের এই উৎসবে নাটক দেখতে এসেছিলেন, এতে আমরা খুশি। এই উৎসব বোলপুরের নাটচর্চার স্বাভাবিক ধারাকে বজায় রাখতে সাহায্য করবে বলেই মনে করি।’

Leave a Reply

0 Comments
%d bloggers like this:
scroll to top