Close

“ব্যাক স্টেজ আর্টিস্ট ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন” এর  পদযাত্রায় সামিল বিশিষ্ট শিল্পীবৃন্দ

গোপাল দেবনাথ : করোনা আবহে পশ্চিমবঙ্গের মঞ্চের নেপথ্য শিল্পীদের নিয়ে গঠিত হয় “ব্যাক স্টেজ আর্টিস্ট ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন”। গতবছর জুলাই মাসের ৭ তারিখ মুক্তাঙ্গনে প্রথম সভায় ১৭জনের কমিটি গঠন করা হয়। ১৫ই অক্টোবর অসহায় ৫০জন নেপথ্য শিল্পীদের কিছু অর্থ সাহায্যের মধ্যে দিয়ে পথ চলা শুরু করে। গত ডিসেম্বর মাসের শুরুতেই মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এবং তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরে কয়েক দফা দাবি সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এখনো পর্যন্ত তার কোনো সদুত্তর না পাওয়ায় জন্য আজ সোমবার দুপুর ১২টার সময় দক্ষিণ কলকাতার তপন থিয়েটার থেকে একাডেমি পর্যন্ত এক পথযাত্রার আয়োজন করা হয়। এই পদযাত্রায় প্রায় তিনশ জন শিল্পী সামিল হয়ে ছিলেন। পদযাত্রা একাডেমি প্রাঙ্গণে এসে অনেক শিল্পী বক্তব্য রাখেন তাদের মধ্যে অন্যতম দেবেশ চট্টোপাধ্যায়, সীমা মুখার্জী, শেখর চক্রবর্তী। উপস্থিত বক্তারা বলেন,  নেপথ্য শিল্পী আর নাট্য শিল্পী আলাদা নয়। এই সংগঠনের প্রয়োজন ছিল অনেক আগেই। আমাদের সকলকে একসঙ্গে থেকে লড়তে হবে। সংগঠনের পক্ষে বক্তব্য রাখেন দীনেশ পোদ্দার, অলোক দেবনাথ, দেবাশীষ চক্রবর্তী, সন্দীপ দে, মনোজ প্রসাদ সহ বিশিষ্ট শিল্পীবৃন্দ। সকল বক্তাদের বক্তব্যে উঠে আসে, গত ২৫ই অক্টোবর সরকারি হলগুলো খোলার নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও-এখনো খোলা হয়নি। আগামী ১৫ই জানুয়ারীর মধ্যে যাতে হলগুলো খোলার ব্যবস্থা করা হয়, গত মার্চ মাস থেকে যতদিন না স্বাভাবিক ভাবে কাজ শুরু হচ্ছে, ততদিন মাসিক ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক,মেডিকেল সুবিধাযুক্ত  ই.এস.আই এর ব্যবস্থা সরকারি খরচে করা হোক, অবসর কালিন ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা করা হোক। সংস্থার  সম্পাদক দেবাশীষ চক্রবর্তী বলেন যেখানে ৩০০ দলকে ৫০ হাজার করে টাকা দিয়েছেন, পুজো কমিটি, ক্লাব সব জায়গায় টাকা বিলি করছেন, সেখানে আমরা ব্রাত্য কেন? এই বৈষম্য কেন? আজকের পদযাত্রার পরেও যদি কোন সরকারি তরফে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত না নেওয়া হয়,  তাহলে আমরা আরো বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো। আশারাখি রাজ্যসরকার আমাদের দেওয়া নূন্যতম দাবি গুলো বিবেচনা করবেন।

Leave a Reply

0 Comments
%d bloggers like this:
scroll to top