Close

প্রকাশিত হতে চলেছে ডাঃ দেবব্রত সেন-এর জীবনী দ্য রাইজিং ওয়ারিয়ার

নিজস্ব প্রতিনিধি: আয়ুর্বেদিক জগতে অন্যতম উজ্জ্বল নাম পরম্পরা আয়ুর্বেদ এবং পরম্পরা আয়ুর্বেদের সঙ্গে যেই নাম জুড়ে রয়েছে তা হল আয়ুর্বেদাচার্য ডা. দেবব্রত সেন।
ধাপে ধাপে বহু বছর পেরিয়ে আজ তিনি আয়ুর্বেদের নামী ডাক্তার এবং আয়ুর্বেদকে একটা ইন্ডাস্ট্রিতে পরিণত করেছেন এমনই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে গেলে চড়াই উতরাই তো থাকবেই। অতএব উঁচু নিচু সব কিছু দিয়েই ডাক্তার দেবব্রত সেন নিজের জীবনকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। ডা. দেবব্রত সেনের জীবনের ঘটনা এবং আয়ুর্বেদ জগতের অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র হওয়া এই সব কিছু বইয়ের আকারে প্রকাশিত হচ্ছে তার জীবনী The Rising Warrior। জীবনীটি লিখছেন স্বনামধন্য লিখিকা এবং সাংবাদিক ড. সোমা এ চ্যাটার্জী।

বইটি লেখা সম্পূর্ণ না হলেও সেই বইয়ের কভার উদ্বোধন হয়ে গেল সম্প্রতি কলকাতায়। সেই সঙ্গে ঘোষিত হলেও পরম্পরা আয়ুর্বেদের তরফ থেকে আয়োজন করতে চলা বিউটি কনটেস্ট পরম্পরা “পরম সুন্দরী” র।

উক্ত অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডাক্তার দেবব্রত সেন, লেখিকা সোমা এ চট্টোপাধ্যায়, সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় প্রমূখ।

ডা দেবব্রত সেন বলেন, এটা একটা মাইল স্টোন বলা যেতে পারে যে পরম্পরা আয়ুর্বেদের ডাক্তার হিসেবে নিজের জীবনী বইয়ের আকারে প্রকাশ। ডাক্তার হিসেবে বা একজন ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট হিসাবে নিজের জীবনের গল্প বইয়ের মাধ্যমে প্রকাশ এটা একটা আননোন স্টোরি। বইয়ের যে ক্যাপশন রয়েছে সেখানে রয়েছে দা রাইজিং ওয়ারিয়ার ( The Rising Warrior)। আমার জীবনে বহু ঘটনার সম্মুখীন আমি হয়েছি দুঃখ রয়েছে, ব্যথা রয়েছে, আনন্দ রয়েছে সেই সব কিছু নিয়েই ওয়ারিয়ার শব্দটা ব্যবহার করা যায়। সোমা দি এবং জয়দীপ দা আমাকে এই বই প্রকাশ করার ব্যাপারে উৎসাহিত করেন। এছাড়া বহু মানুষের মধ্যে একটা উদ্দীপনা দেখা গেছে যে ডাক্তার সেনের জীবনী নিয়ে বই প্রকাশ হবে । এই বই বেরোনোটা আমার কাছে একটা বড় পাওনা।

তিনি আরো জানান, আমরা একটা বিউটি কনটেস্ট শুরু করতে চলেছি যার নাম রেখেছি পরম্পরা “পরম সুন্দরী”। আমি মনে করি মহিলারা হচ্ছেন মাতৃসমূহ। তারা হচ্ছেন স্বয়ং আদ্যাশক্তি। সমাজের মধ্যে থেকে আমরা সেই সব মহিলাদের তুলে ধরবো এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে যাদের মধ্যে সত্যিকারের প্রতিভা রয়েছে, মনন শক্তি বা চিন্তান শক্তির ভেতর আলাদা একটা সৌন্দর্য রয়েছে। এর সাথে আমরা দেখব তিনি তার ত্বক এবং চুল সম্পর্কে কতটা সচেতন রয়েছেন। এই প্রতিযোগিতায় সেরা সেরা যারা হবেন তাদের জন্য আগামী দিনে থাকছে একটা বড় চমক। সারা রাজ্যের প্রতিটি জেলা থেকে সেরাদের নিয়ে এসে সেখান থেকে আমরা বেছে নেব সেরার সেরা কে। সেখান থেকে তারা পাবেন নিজস্ব পরিচয়।
১৮ থেকে ৩৮ বছরের বিবাহিত অথবা অবিবাহিত যেকোনো নারীরাই এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

একান্ত সাক্ষাৎকারে ডক্টর দেবব্রত সেন বলেন, আমার জীবনে প্রত্যেকটি চলার পথে চড়াই-উৎরাই রয়েছে কিন্তু সবকিছুর মধ্যেই আমি একটা ধনাত্মক বা পজিটিভ এনার্জি লক্ষ্য করেছি এবং পজিটিভ চিন্তাভাবনাকে সাথে নিয়ে চলেছি। আমি আমার ভাই বোন এবং যুবসমাজকে বলবো বাঙ্গালীদের একটা পটেনশিয়াল রয়েছে আমরা বাঙালিরা সফলতা আনতে পারি। আমরা লড়াকু মানসিকতার সে স্বাধীনতার সময় থেকেই হোক আর নোবেল প্রাইজ পাওয়াই হোক। জীবনে চলার পথে যদি কোন সময় কোন প্রয়োজন লাগে একটা কথাই যুবসমাজকে বলবো তোমাদের দাদা ডাক্তার দেবব্রত সেন সবসময় তোমাদের পাশে রয়েছে।

Leave a Reply

0 Comments
%d bloggers like this:
scroll to top