Close

করোনার মধ্যে বাড়ি থেকে হাঁটুর ব্যথার রোগ নিরাময়

By Dr.Arunava Lala

MBBS,MS(Ortho),Gold Medalist,MCH(USAIM)

করোনাভাইরাস প্যানডেমিক এর জন্য আজকাল সবাই বাড়ির মধ্যে সীমাবদ্ধ। বিশেষ করে বয়স্ক লোকেরা যাদের মধ্যে comorbid কন্ডিশন আছে। অথচ এই বয়সী লোকেরাই হাঁটুর ব্যথার ও গাঁটের ব্যথায় সবচেয়ে বেশি ভোগেন। ভাইরাসের সংক্রমনের ভয়ে এখন রোগ টাকাতে লোকে হাসপাতাল যেতেও ভয় পান। ডাক্তারখানায় গেলেও একই ভয়। সেই জন্য এই লকডাউন আর এই নতুন নিউ নর্মাল এর মধ্যে আমাদের বাড়ীতেই কিছু উপায় করতে হবে যাতে আমাদের হাঁটু ব্যথা কোমরের ব্যথা ইত্যাদি থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা যায়।

কিছু সহজ উপায়ঃ

বলার চেষ্টা করব যেটাতে আপনি হাঁটুর ব্যথার কোমরের ব্যথা থেকে আপাতত যতদিন না পর্যন্ত এই লকডাউন আর প্যানডেমিক সম্পূর্ণভাবে আমাদের সমাজ থেকে চলে যাচ্ছে ততদিন আপনারা এটা করতে পারেন।

প্রথম পদ্ধতি হলো ব্যায়াম। ব্যায়াম করতে জিমে না গেলেও চলবে ব্যায়াম করতে রাস্তায় না হাঁটলেও চলবে ।বাড়ির মধ্যে কি বাড়ির ছাদে কি বাড়ির ঘরের মধ্যে আধ ঘন্টা থেকে ৪০ মিনিট এপাশ-ওপাশ তীব্র গতিতে হাঁটা এবং প্লেন সারফেসে হাঁটা হাঁটুর জন্য যথেষ্ট উপযোগী।

চেয়ারে বসে বা খাটের ধারে বসে পা ভাঁজ করা পা সোজা করা উইথ এন্ড উইদাউট রেজিস্টেন্স। শুয়ে শুয়ে সামান্য কিছু আসন যেগুলোকে আমরা স্পাইনাল এক্সটেনশন এক্সারসাইজ বলি সে গুলোকে নিয়মিতভাবে করা। যেকোনো ইন্টারনেট ইউটিউব বা গুগলের ওয়েবসাইটে স্পাইনাল এক্সটেনশন এক্সারসাইজ বললে আপনারা সেই ব্যায়াম গুলি দেখতে পারবেন।

আরেক ধরনের হাঁটুর উপযোগী ব্যায়াম এর নাম হচ্ছে কোয়াড্রিসেপস ড্রিল। এগুলো সামান্য হাটুর ব্যায়াম যেটা যেকোন বয়সী লোকেরা বাড়িতে বসে করতে পারে। এটাতে আপনার উরুর পেশী এবং পায়ের পেশী শক্ত এবং হাঁটুর লিগামেন্ট পোক্ত হয়। এগুলি হলো ব্যায়াম যেগুলো করবেন এবার আসি যেগুলো আপনারা করবেন না

যদি তাও হাটুর ব্যাথা না কমে তাহলে গরম ঠান্ডা শেখ একটা সহজ উপায়। দুমিনিট গরম দুমিনিট ঠান্ডা এরকম করে পনেরো-কুড়ি মিনিট শেখ করা প্রয়োজন। এটা দিনে দুবার করবেন। গরম সেক এর জন্য হট ব্যাগ সেটি না থাকলে যেকোন কাপড় একটু গরম করে সেটা ভাব নেওয়া যেতে পারে। ঠান্ডা শেখ এর জন্য কোন আইস প্যাক সেটা না হলে ফ্রিজ থেকে বরফ নিয়ে প্লাস্টিকে মুড়ে সেঁক দেওয়া যেতে পারে।

শেকের পরে ওখানে যেকোনো ডাইক্লোফেনাক জেললাগানো যেতে পারে।জেল থেকে মালিশ করার কোন প্রয়োজন নেই জাস্ট লাগিয়েশুকাতে দেবেন।

খুব বেশি ব্যথা হলে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট যেটা জ্বরের জন্য খান সেইটা দিনে দুই থেকে তিনবার খেতে পারেন। তার সঙ্গে যে কোন সাধারণ অ্যান্টাসিড।

খাওয়া-দাওয়া মধ্যে কোন রেস্ট্রিকশন নেই কিন্তু বেশি তেল মসলাজাতীয় খাবার এভোয়েড করাই ভালো। কারণ শরীরের ওজন বাড়লে শরীরের ওজন টা হাঁটুর মধ্যে দিয়ে যায় এবং শরীরের ওজন যত বাড়বে হাটুর ব্যাথা তত বাড়তে পারে। সবচেয়ে জরুরি মানসিকভাবে সুস্থ থাকা এবং খুশি থাকা এবং একটিভ থাকা যত আপনি একটিভ থাকবেন যত মনের জোরে থাকবেন হাঁটুর ব্যথা ততটাই আপনার কন্ট্রোলে থাকবে।

যারা নি রিপ্লেসমেন্ট এর জন্য অপেক্ষায় আছেন তারাও এগুলো করলে লাভ পাবেন এবংপ্যানডেমিক কমে যাওয়ার পরে অবশ্যই নিজের নিজের ডাক্তার বাবুর কাছে গিয়ে কবে থেকে নি রিপ্লেসমেন্ট করা সম্ভব সেটা জেনে নিন এবং আলটিমেটলি রিপ্লেসমেন্ট ই আপনার সম্পূর্ণ সুস্থতা দেবে। কিন্তু যতদিন না অপারেশন হচ্ছে ততদিন এই ব্যায়ামগুলো আর লাইফস্টাইল মডিফিকেশন গুলো করলে লাভবান হবেন। সকলকে সুস্বাস্থ্য কামনা করি এবং খুব শিগগিরই আমাদের সিচুয়েশন নরমাল হবে এই কামনা করি এবং খুব শিগগিরই আপনারা আগের মত বাইরে খোলামেলা সমাজে হাঁটাচলা করতে পারবেন এটাই আশা করি।

Leave a Reply

0 Comments
%d bloggers like this:
scroll to top